খালেক পারভেজঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে নলকাটা খালের উপর ১১০ ফুট বাশের সাঁকো নির্মাণ ও ৫ শত ফুট সংযোগ সড়ক সংস্কার করেছে। নিজেদের উদ্যোগে এমন কাজ করতে পেরে ঐ গ্রামের মানুষ খুব খুশি ও গর্বিত। সাঁকো নির্মানে বাশ, সুতলী ও অন্যান্য নির্মান সামগ্রী তারা নিজেরা সংগ্রহ করে।
বুধবার ঐ এলাকায় গেলে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই পাচপীর ও কালীরপাঠ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ ও স্কুলের শিার্থীরা সাকো ও সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় ৪ কিঃ মিঃ ঘুরে বাজার ও স্কুলে যেত। বিশিষ করে জরুরী রোগী নিয়ে তাদের বিরম্বনার শেষ ছিলো না।
সাকো ও রাস্তা নির্মানে অংশনেয়া, পাচপীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র মাহফুজার রহমান, ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী মাসুদা আয়শা, ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র হাসান ও পাচপীর মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী রাশেদা বেগম জানান, গত কয়েক বছর ধরে অনেক কষ্ঠ করে আমরা পানির সময় বাশের টার দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতাম। অনেকের টার থেকে পড়ে গিয়ে হাত পা ভেগেছে। কেউ পানিতে পড়ে কাপড়, বই ভিজে আর স্কুলে যেত পারত না। এখন এই ব্রিজ হয়ে তারা খুব খুশি।
উমর আলী (৮৩), জোতিনা বেগম (৬০), আবেদ আলী (৫৬) জানান, উদ্দ্যোগের অভাবে এত দিন কাজটি হয়নি।
সংশ্লিষ্ঠ ওয়াডের নব নির্বাচিত মোম্বার মফিজল ইসলাম জানান, সমাজবদ্ব মানুষ এক হয়ে কাজ করলে যে কোন কঠিন কাজ ও সহজে করা যায়, তার বড় প্রমান এই সাকো নির্মান।
গ্রামের এই মানুষদের উৎসাহ দিতে সেখানে যান উপজেলা চেয়ারম্যান এম কফিল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী বেগম, এসকেএস সংস্থা (সৌর্হাদ্য) দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক নয়ন মণি প্রমূখ।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানালেন, আসলে মানুষের ইচছা শক্তিটাই প্রধান। আর এটাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন হচেছ সঠিক নেতৃত্ব। ত্হালে সব করা সম্ভব। শুধু সরকারের উপর নির্ভর না হয়ে, এ ভাবে নিজেদের উদ্দ্যোগে কাজ করা উচিৎ।
উপজেলা চেয়ারম্যান এম কফিল বলেন, এত বড় একটি কাজ করে গ্রামের মানুষ গুলো একটা বিশাল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছে। যা প্রশাসনের জন্য একটি উদাহারন হয়ে থাকবে। তাই তিনি এ ধরনের কাজের সাথে সব সময় জড়িত থাকার ঘোষনা দেন।
এস কে এস (সৌহার্দ্য) দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক নয়ন মণি জানান, শুধু সাকো নয়, পূর্ব পান্ডুলে ১ কিঃ মিঃ রাস্তা, দনি দলদলিয়ায় ১ কিঃ মিঃ রাস্তা, বুড়াবুড়ি রামেরশ্বর গ্রামে ১ কিঃ মিঃ সংযোগ সড়ক সেচছাশ্রেমে নির্মান করা হয়েছে । গত ৬ মাস ধরে বিভিন্ন গ্রামের মানূষের সাথে বৈঠক করে তাদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য রাজি করে, এ কাজগুলি করা সম্ভব হয়েছে। ওই গ্রামে তাদের সুবিধাভোগীরাও কাজ করেছে। সংস্থাটি শুধু উদ্দ্যোগটিকে বাস্তবায়নে উৎসাহ জুগিয়েছে মাত্র।
বুধবার ঐ এলাকায় গেলে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই পাচপীর ও কালীরপাঠ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ ও স্কুলের শিার্থীরা সাকো ও সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় ৪ কিঃ মিঃ ঘুরে বাজার ও স্কুলে যেত। বিশিষ করে জরুরী রোগী নিয়ে তাদের বিরম্বনার শেষ ছিলো না।
সাকো ও রাস্তা নির্মানে অংশনেয়া, পাচপীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র মাহফুজার রহমান, ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী মাসুদা আয়শা, ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র হাসান ও পাচপীর মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী রাশেদা বেগম জানান, গত কয়েক বছর ধরে অনেক কষ্ঠ করে আমরা পানির সময় বাশের টার দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতাম। অনেকের টার থেকে পড়ে গিয়ে হাত পা ভেগেছে। কেউ পানিতে পড়ে কাপড়, বই ভিজে আর স্কুলে যেত পারত না। এখন এই ব্রিজ হয়ে তারা খুব খুশি।
উমর আলী (৮৩), জোতিনা বেগম (৬০), আবেদ আলী (৫৬) জানান, উদ্দ্যোগের অভাবে এত দিন কাজটি হয়নি।
সংশ্লিষ্ঠ ওয়াডের নব নির্বাচিত মোম্বার মফিজল ইসলাম জানান, সমাজবদ্ব মানুষ এক হয়ে কাজ করলে যে কোন কঠিন কাজ ও সহজে করা যায়, তার বড় প্রমান এই সাকো নির্মান।
গ্রামের এই মানুষদের উৎসাহ দিতে সেখানে যান উপজেলা চেয়ারম্যান এম কফিল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী বেগম, এসকেএস সংস্থা (সৌর্হাদ্য) দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক নয়ন মণি প্রমূখ।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানালেন, আসলে মানুষের ইচছা শক্তিটাই প্রধান। আর এটাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন হচেছ সঠিক নেতৃত্ব। ত্হালে সব করা সম্ভব। শুধু সরকারের উপর নির্ভর না হয়ে, এ ভাবে নিজেদের উদ্দ্যোগে কাজ করা উচিৎ।
উপজেলা চেয়ারম্যান এম কফিল বলেন, এত বড় একটি কাজ করে গ্রামের মানুষ গুলো একটা বিশাল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছে। যা প্রশাসনের জন্য একটি উদাহারন হয়ে থাকবে। তাই তিনি এ ধরনের কাজের সাথে সব সময় জড়িত থাকার ঘোষনা দেন।
এস কে এস (সৌহার্দ্য) দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক নয়ন মণি জানান, শুধু সাকো নয়, পূর্ব পান্ডুলে ১ কিঃ মিঃ রাস্তা, দনি দলদলিয়ায় ১ কিঃ মিঃ রাস্তা, বুড়াবুড়ি রামেরশ্বর গ্রামে ১ কিঃ মিঃ সংযোগ সড়ক সেচছাশ্রেমে নির্মান করা হয়েছে । গত ৬ মাস ধরে বিভিন্ন গ্রামের মানূষের সাথে বৈঠক করে তাদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য রাজি করে, এ কাজগুলি করা সম্ভব হয়েছে। ওই গ্রামে তাদের সুবিধাভোগীরাও কাজ করেছে। সংস্থাটি শুধু উদ্দ্যোগটিকে বাস্তবায়নে উৎসাহ জুগিয়েছে মাত্র।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন